বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার: দিরাইয়ে জোরপূর্বক একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখল করে উল্টো চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে এক সংঘর্ষের ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদি হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা গ্রামের মৃত হাজী হাবিজ উল্লা তালুকদারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রহমত আলী স্বপরিবারে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দিরাই পৌরসভার আনোয়ারপুর উলুকান্দি গ্রামে বসবাস করে আসছেন। গ্রামের বাড়িতে নিজস্ব বাড়ি থাকলেও বর্তমানে কেউ সেখানে থাকেনা। যার কারণে তারা সেটি বিক্রি করতে চাইলে একই গ্রামের প্রবাসি জামির মিয়া ক্রয় করেন। সূত্র মতে, বাড়ির দখলস্বত্ত্ব বুঝিয়ে দিতে গেলে ৫ নভেম্বর বিক্রয়কারী মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর ছেলে মাহবুব আহমদ ও হাজী জাকির আহমদকে মৃত হাজী হাবিজ উল্লার ছেলে মোঃ বরকত উল্লার লোকজন তাদের ওপর আক্রমণ করলে তারা আহত হয়। শুধু তাই নয়, বরকত উল্লাহর লোকজন তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হুমকি দেয় যে, যদি জায়গা দখল করতে আসে, তবে তাদেরকে হত্যা করা হবে। যার কারণে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দিরাই থানায় মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রহমত আলীর ছেলে হাজী মোঃ জাকির আহমদ বাদি হয়ে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০৫, তারিখ ০৮/১১/২০১৬। মামলার আসামিরা হলেন মৃত হাজী হাবিজ উল্লার ছেলে মোঃ বরকত উল্লা, ছানা উল্লা, মৃত রহিম উল্লাহর ছেলে মোঃ আব্দুল লতিফ, আব্দুছ ছামির, বরকত উল্লাহর ছেলে গুলজার আহমদ, সাদ আহমদ, নূর আহমদ ও জাভেদ আহমদ। মামলা দায়েরের পর বিবাদি বরকত উল্লার লোকজন বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এর আগেও তারা আরেকবার তাদের সাথে বিভিন্ন ধরণের খারাপ আচরণ করে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে এ বছরের ৮ আগস্ট জায়গার মালিকগণ ক্রেতা গ্রামের প্রবাসি জামির মিয়ার লোকজন মিনারগংদেরকে জায়গা বুঝিয়ে দিতে গেলে বরকত উল্লাহর লোকজন বাধা দেয়। এতে অপারগ হয়ে ভূমির মালিকরা দিরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের সম্মুখে আর কোন বাধা দিবেনা বলেও তারা অঙ্গিকার করে। গত ৩ নভেম্বর ক্রেতা গ্রামের প্রবাসি জামির মিয়ার লোকজন যখন সেখানে সবজি বাগান করার জন্য বেড়া দিতে যায়, তখন আবারো বিবাদিগণ বাধা দেয়। এমনকি তাদেরকে টুকরো টুকরো করে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। একই দিন রাত ৮টার পর বিবাদিগণ বাড়ির ক্রেতা গ্রামের প্রবাসি জামির মিয়ার লোকজনকে অস্ত্রসহ বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর অডিও রেকর্ড বাদিপক্ষের কাছে সংরক্ষিত আছে বলেও এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন মামলার বাদি হাজী জাকির আহমদ। এ ঘটনায় আতঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রহমত আলীর লোকজন তাদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।